কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু(৫৫) সহ সাত জনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন জগতির কৃষক পাড়ার ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেনে ভোলার স্ত্রী মোছা মালেকা বিশ্বাস, যাহার মামলা নং৫০।

 

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন চোড়হাস কাঁচা বাজার এলাকার মৃত জলিল ইসলামের ছেলে মীর জাকির হোসেন(৩৫), কাস্টম মোড় এলাকার আরিফুল ইসলাম খন্দকার(৩০), জগতি এলাকার মোঃ পিয়ার(৩৬), চোড়হাস উপজেলার রোডের ইমরান হসেন রবিন(৩৫), চোড়হাস কলোনি পাড়ার মোঃ হবি(৫০) এবং মতিমিয়া রেলগেটের মোঃ বিল্টু(৪৫) এজাহার সুত্রে জানাযায় সদর উপজেলার জগতির কৃষক পাড়ার দেলোয়ার হোসেন ভোলা রূপসা গাড়ির ষ্টাটার, লকডাউনের কারনে গাড়ি বন্ধ থাকায় দেলোয়ার হোসেন ভোলা চৌড়হাস মোড়ের সিএনজি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে কিছু টাকা রোজগার করে সংসার চালিয়ে আসতে ছিলো, এমতবস্থায় ২৭-০৪-২০২১ তারিখ সন্ধায় ১ নং আসামী কাউন্সিল মীর রেজাউল ইসলাম বাবু দেলোয়ার হোসেন কে অফিসে ডেকে বলে কাল হতে প্রতিদিন আমাদের ১ হাজার করে টাকা চাঁদা দিতে হবে, দেলোয়ার হোসেন টাকা দিতে অস্বীকার করায় পরের দিন ২৮ তারিখে দুপুর ১২ টার পর চৌড়হাস মোড়ে ২ নং আসামী মীর জাকির হোসেন দেলোয়ার হাসুয়া দিয়ে কোপ মারলে বাম হাতে লেগে আঙ্গুল কেটে জখম হয় এছাড়া বাকী আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মিলে দেলোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন অংশে রড ও বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম সহ কালাশিরা জখম করে।

 

পরে দেলোয়ার হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় হাবিব,শাজাহান, ডানো, আলাল,সহ অনেকেই ছুটে এসে দেলোয়ার হোসেন কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এ বিষয়ে মামলার বাদী মোছা মালেকা বিশ্বাস বলেন থানায় মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামীরা ক্ষমতাসীন হওয়ায় মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাদের চাপ প্রয়োগ করছে এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,যেকোনো সময় তারা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।

 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন ইতিমধ্যে হামলায় সরাসরি অংশগ্রহন করা ৩ নং নং আসামী আরিফুল ইসলাম, ও ৭ নং আসামী বিল্টুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, এছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।